শরীরের ওজন মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলে তা অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। যা আমাদের সমাজে এখন খুব বেশীই দেখা যাচ্ছে। তবে আমরা ছোট থেকে স্বাস্থ্য সচেতন হলে তা এড়ানো সম্ভব। মেটাবলিক সিনড্রোম ওজনাধিক্যের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল সমস্যা। মোটা বাচ্চা ও বড়দের প্রায় ৪৪% এতে আক্রান্ত হতে পারে।

কারণ হিসাবে ওজন, জেনেটিক ফ্যাক্টর ও ইনসুলিন প্রতিবন্ধ উল্লেখযোগ্য।

পেট মোটা হওয়া বা মুটিয়ে যাওয়ার সাথে যদি নিম্নোক্ত দুটি অন্য সমস্যার যোগ থাকে তাকে মেটাবলিক সিনড্রোম বলে। এখানে মোটা হওয়াকে সংজ্ঞায়িত করা হয়, যদি বিএমআই>২৩ বাংলাদেশীদের জন্য ও >৩০ ইউরোপীয়দের জন্য থাকে। মাজার মাপ নিয়েও বলা যেতে পারেÑ যেমন মাপ পুরুষের ক্ষেত্রে ৯০ সেমি বা বেশি ও মহিলাদের ৮০ সেমি বা বেশি থাকে।

যোগের ক্ষেত্রে অন্য সমস্যাগুলো হলো :

১) ব্লাড প্রেসার-১৩০/৮৫ মিলিমিটার অব মারকারি বা বেশি।
২) ট্রাইগ্লাইসিরাইড-১.৭ মিলিমোল/লি বা বেশি।
৩)এইচডি এল-পুরুষ ১.০৩ মিলিমোল/লি বা কম, মহিলা ১.২৯ মিলিমোল/লি বা কম।
৪) খালি পেটে গ্লুকোজ-৫.৬ মিলিমোল/লি বা বেশি অথবা ডায়াবেটিস মেলাইটাস।
মেটাবলিক সিনড্রোমে অনেক ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমনÑ হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস, নিউরোপ্যাথি, প্রস্রাবে এলবুমিন, পিত্ত পাথর, অগ্নাশয়ে ক্যান্সার ও ফার্টিলিটি সমস্যা ইত্যাদি।

চিকিৎসা :

১) নিয়মিত ব্যায়াম

২) ওজন কমানো

৩)ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস মেলাইটাস ও রক্তে চর্বি আধিক্যের চিকিৎসা।
আসুনÑ আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করে রোগের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকি।

 

প্রফেসর ডা. এ.কে.এম. মোখলেছুজ্জামান

কনসালটেন্ট ইন্টারনাল মেডিসিন

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.