অন্যমনস্কভাবে খাওয়ার সময় মাছের কাঁটা/মাংসের হাড় অথবা ছোট ছোট শিশুরা খেলার সময় কোনো কিছু মুখে দিলে তা গলায় আটকে যেতে পারে। এটি একটি মেডিক্যাল ইমারজেন্সি। এমতাবস্থায় রোগীকে যত শিগগিরই সম্ভব হাসপাতালের জরুরি বিভাগে অথবা নিকটস্থ নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

কি কি গলায় আটকাতে পারে

১. ধাতব মুদ্রা বা পয়সা
২. খেলনার ছোট ছোট অংশ
৩. বাঁধানো দাঁত
৪. মাছের কাঁটা
৫. মাংসের হাড়
৬. সুই/সেপ্টিপিন এবং আরও অনেক কিছু।

খাদ্যনালীর কোথায় আটকাতে পারে

গলবিল ও খাদ্যনালী এর সংযুক্ত স্থান হলো খাদ্যনালীর সবচেয়ে সংকীর্ণ জায়গা। এইখানেই বেশিরভাগ জিনিস আটকায়। এ ছাড়াও খাদ্যনালীতে চারটি সংকোচিত পয়েন্টে যে কোনো কিছু আটকাতে পারে।

রোগের লক্ষণসমূহ

১. রোগীর বা রোগীর লোকজন কোনো কিছু খেয়ে ফেলার অথবা গলায় আটকে যাওয়ার কথা বলবে
২. ঢোক গিলতে অসুবিধা হতে পারে
৩. গলা ব্যথা হতে পারে
৪. অতিরিক্ত লালা বের হওয়া
৫. বমি বমি ভাব হওয়া।

রোগ নির্ণয় করার উপায়

১. রোগের লক্ষণসমূহ থেকে
২. গলার বা বুকের এক্সরে করে দেখা যাবে
৩. ইসোফ্যাগোস্কপির (এন্ডোসকপি) মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারি।

চিকিৎসা : যেহেতু এটি একটি মেডিক্যাল ইমারজেন্সি অবস্থা, সেজন্য রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। এরপর সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে ইসোফ্যাগোস্কপির (এন্ডোসকপি) মাধ্যমে খাদ্যনালীতে আটকানো জিনিস বের করতে হবে।

চিকিৎসা না করার ফলে কি কি অসুবধিা হতে পারে

১. খাদ্যনালীতে ইনফেক্শন হতে পারে
২. খাদ্যনালী ফুটা হয়ে ফুসফুসে ইনফেক্শন অথবা পুঁজ জমতে পারে। (যদি ধারালো কিছু হয়) এমনকি রোগী মৃত্যুবরণও করতে পারে।

লেখক :
ডা. এম আলমগীর চৌধুরী
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল,

ধানমণ্ডি, ঢাকা।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.