স্ট্রোক এখন নীরব ঘাতক হয়ে দেখা দিয়েছে। অল্প বয়সীরাও এতে আক্রান্ত হচ্ছে। মূলত জীবনযাত্রায় মাত্রাতিরিক্ত চাপ, দুশ্চিন্তাসহ কয়েকটি কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে এর চিকিৎসা রয়েছে।

ডক্টর সাক্ষাৎকারে স্ট্রোকের চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সুমন রানা।

তিনি বলেন, স্ট্রোকের ধরন ও প্রকারভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন হয়ে থাকে। ইসকেমিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে (মস্তিষ্কের রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাধা) রোগীকে সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে আসা সম্ভব হলে থ্রম্বোলাইসিস (ইনজেকশনের মাধ্যমে জমাটবদ্ধ রক্ত সরানো) এবং থ্রমবেকটমির (স্টেন্টের মাধ্যমে জমাটবদ্ধ রক্ত বের করা) মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই রোগীকে সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আনতে হবে।

ডা. মো. সুমন রানা বলেন, এ ছাড়া হেমোরেজিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে (মস্তিষ্কের কোনো রক্তনালি ফেটে রক্ত ছড়িয়ে পড়া) প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি সার্জারি, সার্জিক্যাল ক্লিপিং অথবা কয়েলিংয়ের মাধ্যমে চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে স্ট্রোকের চিকিৎসা সম্পূর্ণ নির্ভর করে রোগীর অবস্থা, স্ট্রোকের ধরন এবং রোগী কত দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছেছে তার ওপর।

তিনি পরামর্শ দেন, স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস নিতে সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে মুখে মুখ লাগিয়ে শ্বাস দিতে হবে। বমি হলে মাথা একদিকে কাত করে দিতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো খাবার বা পানি খাওয়ানো যাবে না। অজ্ঞান রোগীর ক্ষেত্রে শ্বাসনালি, শ্বাস-প্রশ্বাস ও রক্ত সঞ্চালন নিয়মিত রাখতে হবে। রোগীকে একদিকে কাত করে শোয়াতে হবে।

 

ডা. মো. সুমন রানা

ডক্টর সাক্ষাৎকারে স্ট্রোকের চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহকারী

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.