আমাদের অবচেতন মনের বহিঃপ্রকাশই স্ট্রেসজনিত দুঃস্বপ্নে ঘটে। অর্থাৎ বাস্তবে আমরা যা চেপে রাখতে চাই স্বপ্নে আমরা সেটাই দেখি। কাজের প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ভাবতে পারেন, কি কারণে আপনি মানসিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন। একই স্বপ্ন বারবার দেখলে জানার চেষ্টা করুন এই স্বপ্নটি কীসের প্রতীকী রূপ? আমার কী করা প্রয়োজন?

স্ট্রেসজনিত দুঃস্বপ্নের হাত থেকে রেহাই পেতে করণীয়

১. প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করা।
২. সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন বই পড়া।
৩. সন্ধ্যার পরে ভারী খাবার না খাওয়া।
৪. ঘুমানোর আগে চা, কফি এবং মদ পরিহার করা।
৫. বেলা তিনটার পর আর কিছুতেই ঘুমাতে না যাওয়া।
৬. নিজেকে চাপ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য খেলাধুলা করা।
৭. প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠা। ছুটির দিনেও এই নিয়মের ব্যত্যয় হবে না।
৮. ঘুমানোর আগে চারপাশ আরামদায়ক করা। যেমন: স্তিমিত আলো অথবা আরামদায়ক তাপমাত্রা ইত্যাদি।

স্বপ্ন আমাদের অবচেতন মনের ভাবনা। আবার অবচেতন মনের সঙ্গে দুঃস্বপ্ন সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে। অনেকেই ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখেন। আমাদের সচেতন মন মাত্র ৫ শতাংশ। আমাদের মনোজগতে বিশাল জায়গা নিয়ে আছে অবচেতন মন। একটু সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় নিজের জীবনটাকে বিশ্লেষণ করে দেখুন। কোন কোন অবচেতন বিষয় আপনার মনে চাপ তৈরি করছে? এই বিষয়গুলো সামাল দেওয়ার জন্য কী করবেন? নিজেকে হালকা করার জন্য কাউকে আপনার মনের কথা খুলে বলতে পারেন। এতে চাপমুক্ত হলে আপনি দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি পাবেন।

স্ট্রেসজনিত দুঃস্বপ্নের কারণে প্রয়োজনে আপনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করাই সব থেকে জরুরি চ্যালেঞ্জ। প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।

 

লেখক:

অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া

চিকিৎসক, কাউন্সেলর সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বাংলাদেশ

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.