অনেকে বলেন, আমার লিম্ফ নোড বা গ্ল্যান্ড ফুলে গেছে। কারও এতটাই ফুলে যায় যে দেখলে মনে হয় টিউমার। সে কারণে অনেকেই ভয় পেয়ে যান বা আতঙ্কিত হন। এটা কি কোনো ক্যানসারের লক্ষণ?

লিম্ফনোড কী

লিম্ফ নোড রোগ প্রতিরোধক্ষমতার একটি অঙ্গ, যা সম্ভাব্য ক্ষতিকারক পদার্থের জন্য ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। বাংলা পরিভাষায় একে বলে লসিকা গ্রন্থি। লিম্ফ বা লসিকা শরীরে প্রবেশকারী জীবাণুকে আক্রমণ ও ধ্বংস করে, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে। আসলে শরীরজুড়ে শত শত লিম্ফ নোড রয়েছে। লিম্ফ নোড ক্যানসার কোষ এবং জীবাণুকে ফিল্টার করে। ঘাড়, বগল, বুক, পেট এবং কুঁচকিসহ শরীরের বেশ কিছু অংশে লিম্ফ নোডের আবাসস্থল। সেগুলো এত ছোট যে সাধারণত দেখা যায় হয় না। কোনো রোগের কারণে বড় হলে তখন চোখে পড়ে বা হাতে ধরে অনুভব করা যায়।

লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়ার কারণ

বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ যেমন—কানের ইনফেকশন, সাইনাস সংক্রমণ, দাঁতের সংক্রমণ (ফোড়া দাঁত), ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, ত্বক বা ক্ষত সংক্রমণ
টনসিলের প্রদাহমূলক ব্যাধি, টনসিলাইটিস। যক্ষ্মা, যৌনবাহিত সংক্রমণ যেমন সিফিলিস, এইচআইভি, বিভিন্ন বাতরোগ, মাম্পস, রুবেলা, হারপিস সিমপ্লেক্স ইত্যাদি ভাইরাসের কারণেও  ফুলে যেতে পারে। পাশাপাশি ক্যানসারও লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়ার একটি সম্ভাব্য কারণ।

লিম্ফ নোড ফুলে গেলে করণীয়

কিছু ক্ষেত্রে খুব অল্প সময়ের মধ্যে লিম্ফ নোড ফুলে যায়; যেমন ঠান্ডা জ্বরে গলার লিম্ফ নোড ফোলে, আবার রোগটি সেরে গেলে আগের অবস্থায় ফিরেও আসে। কিছু ক্ষেত্রে আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। যদি অবস্থার অবনতি হয় বা উন্নতি না হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসা শুরু করার আগে, ডাক্তাররা ফুলে যাওয়ার কারণ নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা দিতে পারেন। কারণ নির্ধারণ করে চিকিৎসক সে অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। রোগ চিহ্নিত করা এবং সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.