রমজানে সাধারণত কিছু রোগের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। যেমনঃ- পেট ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, বদহজম, এসিডিটি ইত্যাদি। এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের খাদ্যাভ্যাসের কিছুটা পরিবর্তন জরুরী ।

 রোজায় খাওয়া-দাওয়ার নিয়মঃ

* সেহরির শেষ সময়ের কাছাকাছি সময় করবেন, বেশি আগে করবেন না

* ইফতার করতে হবে আজানের সাথে সাথে। ইফতার শেষ করে মাগরিবের নামাজ পড়াই ভালো। পানি মুখে দিয়ে একটা খেজুর খেয়েই অনেকে নামাজে দাঁড়িয়ে যান, এটা ইনসুলিন বা ওষুধ গ্রহণকারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

* ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পানি এবং তরল জাতীয় খাবার খাবেন। যেমনঃ ডাবের পানি, শরবত (কম চিনি যুক্ত বা চিনি বিহীন), দুধ, টক দইয়ের লাচ্ছি, ডাল ইত্যাদি।

* ইফতারে ভাজাপোড়া এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাবেন।

* সেহরি এবং ইফতারের আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাবেন। যেমনঃ- ভাত, রুটি, সবজি, ডাল, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, দই, ফলমূল, সালাদ ইত্যাদি।

* অনেকে রাতের খাবার খেতে চান না, এটাও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। রাত দশটার দিকে রাতের খাবার খেয়ে নিলে ভালো হয়।

* মনে রাখবেন, দৈনিক প্রয়োজনীয় ক্যালোরির পরিমাণ রোজায় একই থাকবে। অর্থাৎ এখন ১৬০০ ক্যালোরির খাবার খেলে রোজাতেও একই পরিমাণ খাবার খেতে হবে। ইফতার ও রাতের খাওয়া এবং সেহেরি দিয়ে এই চাহিদা পূরণ করতে হয়। রাতের খাবার না খেলে ক্যালোরি ঠিক রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

 

লেখক :

ডাঃ মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম

এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (মেডিসিন)
জুনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন)
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,বরুড়া, কুমিল্লা।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.