স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস আর দৈনন্দিন কিছু চর্চার মাধ্যমে ত্বকে বয়সের ছাপ বা বলিরেখা প্রতিরোধ করা যায়। এর মাধ্যমে ৪০ বা ৫০ বছরেও তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ ত্বকে বয়সের ছাপ ফেলতে পারে। ত্বক শরীরের একক বৃহত্তম অঙ্গ। সাধারণত চল্লিশোর্ধ্ব বয়সে ত্বকে বয়স বৃদ্ধির বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়। তবে ব্যক্তিবিশেষে এসব লক্ষণ অপরিপক্ব বয়সেও দেখা দিতে পারে।

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে : বয়স ও বংশগত কারণে সৃষ্ট ত্বকে বয়োবৃদ্ধির লক্ষণ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা প্রতিরোধে সৌন্দর্যবর্ধক চিকিৎসা ছাড়া অন্য কিছু করার নেই। তবে কিছু চর্চা অব্যাহত রাখা ভালো। সূর্যালোকের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা বা হ্যাট ব্যবহার করা যেতে পারে। বায়ুদূষণের জন্য সানস্ক্রিন ও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের উপযোগী সাবান দিয়ে প্রতিদিন ত্বক পরিষ্কার এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ধূমপান পরিহার ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ভিটামিন এ, সি, ডি, ই এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। শাকসবজি ও পর্যাপ্ত পানি পানের অভ্যাস গড়তে হবে।

আধুনিক কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি : ত্বকে বয়স বৃদ্ধিজনিত ভাঁজ, দাগ, কারও কারও ক্ষেত্রে ঝুলে যাওয়া, গর্ত হওয়া, ঔজ্জ্বল্য কমে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দূর করতে নানা চিকিৎসা রয়েছে। যেমন- কেমিক্যাল পিলিং, মাইক্রোডার্মাব্রেশন, কোলাজেন ফিলার ও বোটক্স ইনজেকশন, লেজার, পিআরপি, অটোলোগাস ফ্যাটথেরাপি, ইলেকট্রোথেরাপি, হাইড্রোথেরাপি, থ্রেড লিফট ইত্যাদি। এসব চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকার প্রয়োজন হয় না।

কসমেটিক সার্জারির মাধ্যমেও অবয়ব পরিবর্তন এবং সৌন্দর্যবর্ধনের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধে অনেক উন্নত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো চিকিৎসা নেবেন না। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ও ফিটনেস ধরে রাখতে সুষম খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

 

লেখক :
ডা. জাহেদ পারভেজ 
সহকারী অধ্যাপক, চর্ম যৌন চুল রোগ  বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ, চেম্বার- ডাঃ জায়েদ হেয়ার অ্যান্ড স্কিন ক্লিনিক ১৫১/১ এইচ সাবামুন টাওয়ার, ৬তলা গ্রীনরোড পান্থপথ ঢাকা।

 

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.