আমাদের অনেকেই ধারণা করতো, যারা পশ্চিমা দেশগুলোতে থাকে তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়। কারণ তারা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ায় না, পশ্চিমাধারার জীবনযাপন করে। ভাবা হতো, বাংলাদেশে ব্রেস্ট ক্যান্সারের সংখ্যা বেশি নয়। কিন্তু এটা একদমই ভুল ধারণা। বাংলাদেশেও এখন নারীদের ক্যান্সারে এক নম্বরে ব্রেস্ট ক্যান্সার চলে এসেছে। ৬-৭ বছর আগেও জরায়ু ক্যান্সারটা এক নম্বরে ছিল।

কিন্তু এখন ব্রেস্ট ক্যান্সারের সংখ্যা এত বেড়ে গেছে যে এক নাম্বারে চলে এসেছে। জরায়ু ক্যান্সারটা দুই নম্বারে নেমে এসেছে। সুতরাং বাংলাদেশের চিত্রও কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে আলাদা কিছু নয়।

বাংলাদেশেও এক নম্বরে ব্রেস্ট ক্যান্সার, দ্বিতীয় জরায়ুমুখ ক্যান্সার, তৃতীয়ত জরায়ু ক্যান্সার যেটাকে বলি (এন্ড্রোমেট্রিয়াল ক্যান্সার)। পরবর্তীতে আমরা ওভারিয়ান ক্যান্সার বা অন্যান্য ক্যান্সারের কথা বলতে পারি।

ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে, সচেতন করতে হবে নারীদের। নারী হিসেবে তো আপনার-আমার আরও বেশি দায়িত্ব। সুতরাং প্রথমেই বলতে চাই যে, ব্রেস্টের কিন্তু তিনটা পার্ট আছে।

একটা ব্রেস্ট সেল্ফ এক্সালিটি বা ব্রেস্টের যে এরিয়া আছে সেখানে কী হতে পারে- সেখানে কোনো লার্ব দেখা দিতে পারে বা কোনো চাকা দেখা দিতে পারে। কোনো জায়গা হয়তো ফুলে গেছে বা কোনো জায়গার স্কিনে রেড হয়ে আছে। আর নিপল ভেতরের দিকে ডুবে যাচ্ছে, যেটা আরো বাইরে বের হয়ে ছিলো। নিপলে চাপ দিলে রক্ত বা পুজের মতো বের হচ্ছে। এগুলো কিন্তু খুবই খারাপ লক্ষণ বা ক্যান্সারের বড় লক্ষণ।

দ্বিতীয়ত হচ্ছে আপনার স্কিন যেটা আছে চামড়া। চামড়া দেখা যায় মোটা হয়ে কুচকে যায়। মানে কমলার যে খোসাটা আছে সেটার মতো রাফ হয়ে যাচ্ছে স্কিনটা।

আরেকটা জিনিস অবশ্যই খেয়াল করতে হবে, বগলের নিচেও কিন্তু অনেক সময় ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো লক্ষণ দেখা যায়। দেখা যায় বগলের নিচে অনেক বড় একটা চাকা আছে। যেটাকে আমরা এক্সিলারি লিমরোস বলি। লিমরোসের ক্ষেত্রেও এ রকম চাকা নিয়ে আমাদের কাছে রোগীরা আসে; যদিও সংখ্যায় কম।

 

ডা. লুবনা মরিয়ম

সহকারী অধ্যাপক (রেডিওথেরাপি), ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.