বয়স্ক মানুষের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে ডিমেনশিয়া। বর্তমানে সারা বিশ্বে ৫ কোটি মানুষ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত, যা ২০৫০ সালের মধ্যে ১৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। ডিমেনশিয়ার কোন সুনির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই।
অল্প শিক্ষা, উচ্চ রক্তচাপ, শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা, ধূমপান, স্থূলতা, বিষণ্নতা, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, ডায়াবেটিস এবং কম সামাজিক যোগাযোগ – এই ৯টি কারণ ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর সঙ্গে আরও যেসব বিষয় যুক্ত হয়, সেগুলো হলো মদ্যপান, আঘাতমূলক মস্তিষ্কের ক্ষত (TBI) ও বায়ুদূষণ। এই কারণগুলোই ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত। এই কারণগুলো প্রতিরোধ করতে পারলে ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব।
উচ্চ-আয়ের দেশগুলোর তুলনায় নিম্ন-আয়ের এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে (LMIC) ডিমেনশিয়ার হার বাড়ছে, কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বার্ধক্য এবং সম্ভাব্য পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকিগুলো বৃদ্ধি পায়।
১. চল্লিশ ও তার বেশি বয়সের মানুষের জন্য রক্তচাপের ঊর্ধ্বমান ১৩০ বা তার নিচে থাকতে হবে। উল্লেখ্য, রক্তচাপ কমানোর ওষুধকেই এখন পর্যন্ত ডিমেনশিয়া প্রতিরোধকে একমাত্র ওষুধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
২. যারা কানে কম শোনেন, তারা শ্রবণযন্ত্রের ব্যবহার নিশ্চিত করুন এবং অত্যধিক শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করুন।
৩. ধূমপান এড়িয়ে চলুন এবং অন্যকে ধূমপান বন্ধে সহায়তা করুন।
৪. মাথায় আঘাত পাওয়াকে প্রতিরোধ করুন।
৫. মদ্যপান সীমিত করুন। কারণ অ্যালকোহলের অপব্যবহার এবং সপ্তাহে ২১ ইউনিটের বেশি পান করলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
৬. সকল শিশুর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিত করুন।
৭. নিয়মিত ব্যায়াম এবং সুস্থ জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হোন।
৮. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং ডায়বেটিস প্রতিরোধের নিয়মাবলি মেনে চলুন।
৯.পরিমাণ মতো ঘুম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সুষম খাদ্যগ্রহণ নিশ্চিত করুন।
লেখক:
ডা. নাশিদ ইসলাম
জুনিয়র কনসালটেন্ট, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতাল এন্ড ওয়েলফেয়ার হোমস