পেটের গ্যাস, আলসার বা ফুলে যাওয়ার সমস্যায় ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত কিছু ওষুকে প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর বা পিপিআই নামে ডাকা হয়। যেমন-ওমিপ্রাজল, ল্যানসোপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল, প্যানটোপ্রাজল ও রেবিপ্রাজল ইত্যাদি। আমাদের দেশে এর সবই সহজ লভ্য। মানুষের সুস্থতায় এদের অবদান অনেক।
পিপিআইর ব্যবহার :
১) পেপটিক আলসার
২) গ্যাস্ট্রাইটিস
৩) রিফ্লাক্স ইসোফেজাইটিস
৪) হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নির্মূল
৫) ব্যথার ওষুধের সাথে
৬) ডিসপেপসিয়া ইত্যাদি ।
প্রত্যেক ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা বিষক্রিয়া থাকতে পারে, যা পরিমাণ ও ব্যবহারের দীর্ঘ মেয়াদের উপর নিভর্রশীল। পিপিআইরও এটা আছে। সম্প্রতি গবেষণায় যোগ হয়েছে ভীতিকর কিছু রোগ-ব্যধি।
অষ্ট্রেলিয়ার এক গবেষণায় সম্প্রতি উঠে এসেছে পিপিআই’র যথেচ্ছ ব্যবহারের কিছু সমস্যা:-
১) দীর্ঘ মেয়াদী কিডনি রোগ-৫০%
২) স্বল্প মেয়াদী কিডনি রোগ-১৫%
৩) নেফ্রাইটিস
৪) ম্যাগনেসিয়াম কমে যাওয়া
৫) হার্ট এটাক-১৬%
৬) হাড় ভেঙে যাওয়া ৩৩% ইত্যাদি,
এ ছাড়াও অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
১) মাথাব্যথা
২) পেট ফাঁপা
৩) হেপাটাইটিস
৪) পেটে ইনফেকশন
৫) পুরুষের স্তন ফুলে যাওয়া
৬) মুখে শুষ্কতা
৭) মানসিক সমস্যা
৮) কষা বা পাতলা পায়খানা ইত্যাদি।
ইচ্ছেমত পিপিআই খাবার দিন মনে হয় শেষ হয়ে এসেছে। ইউএসএর এফডিয়ের নির্দেশনা- বছরে ছয় সপ্তাহের বেশি নয়। আমাদের উচিৎ হবে চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধের ডোজ ও মেয়াদ নির্ধারণ করা।
প্রফেসর ডাঃ এ .কে এম. মোখলেছুজ্জামান
কনসালটেন্ট মেডিসিন
আজগর আলী হাসপাতাল
১১১ / ১ / এ , ডিস্টিলারি রোড , গেণ্ডারিয়া ( ধুপখোলা মাঠ সংলগ্ন ) , ঢাকা – ১২০৪ , বাংলাদেশ।