সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করলেও রোজারত অবস্থায় মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। দীর্ঘসময় কিছু না খেয়ে থাকার ফলে শরীরে শর্করা বিপাক কমে গিয়ে চর্বি বা ফ্যাট বিপাক বেড়ে যায়। ফলে মুখে গন্ধ হয়। আর রোজারত অবস্থায় মুখের লালাগ্রন্থি কম সচল থাকার কারণে লালা নিঃসরণ কমে যায়। এভাবে মুখের ব্যাকটেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। ফলে ব্যাকটেরিয়ার বাইপ্রোডাক্ট (উপজাত) থেকে মুখে গন্ধ আসে। আর এ সময় যদি মুখের পরিচ্ছন্নতাবিধি না মানা হয়, তাহলে দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে যায়।

রোজায় দাঁত ও মুখের যত্ন কীভাবে নেবেন?

দুই বেলা খাবার পর দাঁত ব্রাশ করতে হয়। রমজানে ইফতার ও সাহ্‌রির পর ব্রাশে পেস্ট লাগিয়ে ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করা দরকার। ইফতারের পরপর যদি না পারি, সন্ধ্যা রাতে খাবার খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করতে হবে। সাহরি করার পরপর ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। তাহলে মুখে জীবাণুর আধিক্য হ্রাস পাবে।

সকালে ঘুম থেকে উঠলে গড়গড়া না করে সামান্য পানি দিয়ে কুলি করা যেতে পারে। তবে কুলি করার পর মুখে জমে থাকা অবশিষ্ট পানি, থুতুর মাধ্যমে ফেলে দেওয়া উচিত। প্রয়োজন মনে করলে কোনো প্রকার পেস্ট ছাড়া শুধু ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা যাবে।

প্রয়োজন মনে করলে কোনো প্রকার পেস্ট ছাড়া শুধু ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা যাবে।
আরও কিছু পরামর্শ

  • ইফতারের পর থেকে সাহ্‌রির আগ পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। শরবতে ইসুবগুলের ভুসি দেওয়া যেতে পারে, এতে পেটও ভালো থাকবে।
  • অবশ্যই তেলের জিনিস কম খাওয়া এবং প্রচুর শাকসবজি খাওয়া উচিত।
  • ‘রাতে শাক খাওয়া মানা’—এ ধারণার পেছনে শক্ত কোনো যুক্তি নেই। বরং শাকে আঁশ থাকায় দাঁত পরিষ্কার থাকে। শাকে অনেক ভিটামিন ও মিনারেলও আছে। তবে দুপুরে রান্না করা শাক ভালোভাবে সংরক্ষণ না করে রাতে খেলে পেটে অসুবিধা হতে পারে।
  • গুল বা তামাক কোনোভাবেই সেবন করা যাবে না।
  • ধূমপান পরিহার করা উচিত। ধূমপানে মুখের দুর্গন্ধ বাড়ে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.