আমরা হরহামেশা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হই। এসব রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়তে আমাদের শরীরের রয়েছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা। একে শক্তিশালী করতে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য : ভিটামিন-এ, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ডি, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করে। খাদ্য তালিকায় এ সব উপাদানসমৃদ্ধ খাবার থাকা জরুরি।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন : রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনাকে সতেজ রাখতে পানির ভূমিকা অসামান্য। রক্ত আর লসিকা নালি পথে বাহিত হয় জীবাণুবিরোধী কোষ। এদের চলাচল মসৃণ রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানীয়। পানি শরীরের কোষে পৌঁছে দেয় পুষ্টি আর বহন করে নিয়ে যায় দূষিত উপাদান।
দরকার সুখনিদ্রা : প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে ঘুমাতে হবে পর্যাপ্ত। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা, টিনএজারদের প্রয়োজন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা আর শিশুদের দরকার ১৪ ঘণ্টা ঘুম।
মানসিক চাপমুক্ত থাকুন: মানসিক চাপ ইমিউন ব্যবস্থাপনাকে দুর্বল করে দেয়। দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ অন্যান্য ব্যাধিকে আমন্ত্রণ জানায়। তাই মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপন করুন।
সময়মতো টিকা নিন : রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশাল ঢাল হলো টিকা। সময়মতো টিকা নিলে মুক্ত থাকা যাবে অসংখ্য ব্যাধি থেকে।
ধূমপান বর্জন করুন : ধূমপান ইমিউনতন্ত্রকে দুর্বল করে। ফলে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ধূমপানের ফলে উৎপন্ন নিকোটিন, ফর্মালডিহাইড, অ্যামোনিয়া, কার্বন মনো অক্সাইড, টার, এসিটোন ইত্যাদি যৌগ জীবাণুর বিরুদ্ধে অস্ত্রধারী শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্রম ব্যাহত করে।
লে, ডাঃ কর্নেল নাছির উদ্দিন আহমদ
সি,এম,এইচ, ঢাকা ।