ডায়বেটিস রোগীর মধ্যে বয়স্করা বেশি কাঁধের ব্যথায় ভুগে থাকেন। এর মূল কারণ, অ্যাডহেসিভ ক্যাপসুলাইটিস, যা পরে কাঁধের জয়েন্ট শক্ত করে ফেলে। ফলে, ক্রমে রোগী হাত ওপরে ওঠাতে পারে না, পিঠের দিকে নিতে পারে না, জামা-কাপড় পরতে পারে না, এমনকি মাথা আঁচড়াতেও পারে না। এমন হওয়ার কারণ, হাত দিয়ে ভারী কিছু উঠাতে গিয়ে একটু ব্যথা পেয়েছিলেন, যা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। পরে ব্যথা ক্রমে বাড়ছে। পাশাপাশি কাঁধের মুভমেন্ট কমে যাচ্ছে।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, রোগীর সারভাইক্যাল স্পন্ডালাইসিস বা ঘাড়ের ক্ষয় রোগ আছে, যে কারণে ঘাড় থেকে হাতে ব্যথা চলে আসে এবং এ ব্যথার কারণে রোগী হাতের নড়াচড়া কমিয়ে দেয় এবং ক্রমে জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভ্রমণের সময় বাসে কিংবা গাড়িতে যাত্রাকালে বড় ধরনের ব্রেক করা হলে, যাত্রী তার ব্যক্তিগত সাপোর্টের জন্য হাত দিয়ে শক্ত করে গাড়ির হাতল ধরে থাকে এবং ব্যথা পায়, যা পরে কাঁধ ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়াও বয়স চল্লিশের ওপর হলে ডিজেনারেটিভ প্রবলেম শুরু হয়। জয়েন্টের অভ্যন্তরীণ সাইনোভিয়াল ফ্লুইড কমে যেতে থাকে।

এ কারণে কাঁধে ব্যথা হতে পারে। এ রোগটি ডায়বেটিস আক্রান্তদের বেশি হয়ে থাকে। তাই তাদের ব্যথানাশক ওষুধ পরিহার করা ভালো। তবে মাংসপেশি রিলাক্স করতে মাসল রিলাক্সেন জাতীয় ওষুধের প্রয়োজন পড়ে। পাশাপাশি রোগীর সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন সঠিক ও সময়োপযোগী ফিজিওথেরাপি। এ রোগের চিকিৎসায় কিছু ইলেকট্রোথেরাপিউটিক এজেন্ট খুব উপকারী। পাশাপাশি রোগীকে কিছু এক্সারসাইজ করতে হয়।

লেখক :
ডা.এম. ইয়াছিন আলী
চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল। (দ্বিতীয় তলা),

বাড়ি-১২/১, রোড-৪/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.