বয়স হলে ঘাড়ের টিস্যু ক্ষয় হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে ল্যাপটপের সামনে বসে যারা কাজ করেন, তাদের এ সমস্যা বেশি হয়। ঘাড়ের মধ্যকার হাড়ে ফাঁক থেকে যায়। যাদের সারভাইক্যাল স্পন্ডেলাইটিস রয়েছে, তাদেরও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। বাঁকাভাবে শুয়ে থাকলে ঘাড়ে চাপ পড়ে, সেখান থেকেও ঘাড়ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় বিছানায় শুয়ে বই পড়া, টিভি দেখা বা উপুড় হয়ে ল্যাপটপে কাজ করা থেকেও ঘাড়ের পেশিতে টান লেগে ব্যথা হয়। সামনে ঘাড় ঝুঁকিয়ে কাজ করতে হয়, এমন পেশার মানুষদের বেশি দেখা যায়।
কারা ঝুঁকিতে : সামনে ঘাড় ঝুঁকিয়ে কাজ করতে হয়, এমন সব পেশার মানুষদের এ রোগ বেশি দেখা যায়। শুধু চেয়ার-টেবিলে বসে কাজ করেন, যেমন ব্যাংকার, নির্বাহী; কম্পিউটারে একনাগাড়ে কাজ, ঘাড়ে ঝাঁকুনি লাগে, এমন পেশা, যেমন মোটরসাইকেল বা সাইকেলচালকদেরও হতে পারে।
চিকিৎসা : ঘাড়ব্যথার জন্য সাময়িক ব্যথার ওষুধ সেবন করতে পারেন। এ ছাড়া মেরুদ-ের হাড়ের নিচের দিকের জয়েন্ট বা ঘাড়ের পেশিতে স্টেরয়েড ইনজেকশনও নেওয়া যায়। ব্যথা না কমলে চিকিৎসক অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত দেন। ব্যথা উপশমের জন্য ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে থেরাপিও নিতে পারেন। একজন ফিজিওথেরাপিস্ট মূলত ঘাড়ের টানা বা সার্ভিক্যাল ট্র্যাকশন, শর্ট ওয়েভ ডায়াথার্মি, ম্যাসাজ, ট্রান্সকিউটেনিয়াস ইলেকট্রিক নার্ভ স্টিমুলেশন দিয়ে থাকেন।