লবণ ছাড়া খাবার যেন ভাবাই যায় না। আমাদের মধ্যে অনেকেই ভাবেন শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করাই লবণের কাজ। শুধু স্বাদ বৃদ্ধিই নয়, এর অনেক উপকারি দিকও আছে। আমরা যে লবণ খাই তার মধ্যে সোডিয়ামের পরিমাণ ৪০% ও ক্লোরিণের পরিমাণ ৬০%। শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ পরিমিত পরিমাণে না থাকলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা।

হাইপোনাইট্রেমিয়া দেখা দিলে সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে। সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মিষ্টি আলু, মুড়ি, মুশুরীর ডাল, ওলকপি, ফুলকপি, কাঁঠালের বিচি, গাজর, ব্রকলি, পালং শাক, লেটুস, কাঁচা টমেটো, কাঁচা আম, জিরা, লিচু, আনারস। মাছের মধ্যে রয়েছে চিংড়ি, ইলিশ, চিতল, শিং, মাগুর, কই, রুই, টুনা। হাঁস ও মুরগীর ডিম, গরুর মাংস, দুধ থেকেও সোডিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়া চিজ ও শুটকি মাছেও প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম রয়েছে। যারা হাইপোনাইট্রেমিয়ায় ভুগছেন তারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারে বাড়তি লবণ যুক্ত করতে পারেন। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

প্রতিদিন কতটুকু লবণ খাওয়া যাবে?

প্রতিদিনের রান্নায় আমরা লবণ ব্যবহার করি। অন্যদিকে প্রাকৃতিক খাবার থেকেও আমরা সোডিয়াম পেয়ে থাকি। দ্য আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন সুস্থ ব্যক্তির দৈনিক ২৩০০ মিলিগ্রামের বেশি সোডিয়াম খাওয়া উচিত নয়। ১ চা চামচ (৫ গ্রাম) লবণ থেকে প্রায় ২০০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম পাওয়া যায়।

প্রাকৃতিক উপায়ে খাবার থেকে প্রাপ্ত সোডিয়াম ও রান্নার সময় ব্যবহৃত লবণ থেকেই আমরা আমাদের দৈনিক সোডিয়ামের চাহিদা মেটাতে পারি। বর্তমানে আমাদের মধ্যে ফাস্ট ফুড ও বাহিরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। এই ধরণের খাবারে প্রচুর পরিমাণে লবণ ব্যবহার করা হয়। দ্য আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন  তাই সতর্কতার জন্য দৈনিক ১৫০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে।

লেখক:

জান্নাত আরা ঊর্মি

পুষ্টিবিদ

 

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.