বিশেষ এক ধরনের প্রোটোজোয়া দিয়ে লিভারে পুঁজ বা ফোঁড়া হয়। একে বলে লিভার এবসেস। জীবানুটার নাম এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা। দূষিত পানি বা খাবারের মাধ্যমে জীবাণুটি শরীরে প্রবেশ করে। তারপর অন্ত্র থেকে রক্তের মাধ্যমে লিভার বা যকৃতে যেয়ে এবসেস বা ফোঁড়া সৃষ্টি করে।

এমিবিক লিভার এবসেসে বিভিন্ন উপসর্গ থাকে। যেমন:-

১। পেটের উপরের ডানদিকে ব্যথা।

২। জ্বর।

৩। ঘাম হওয়া।

৪। কাঁপুনি।

৫। অস্বস্তি।

৬। বমিভাব, বমি ইত্যাদি।

ভালভাবে ইতিহাস নিয়ে এবং শারীরিক পরীক্ষা করে এমিবিক লিভার এবসেস ডায়াগনসিস করা যায়। লিভার বড় হয়ে যায়। পরীক্ষা করলে এটা বোঝা যায়। লিভারের অংশে ব্যথাও থাকে।

এমিবিক লিভার এবসেস ডায়াগনসিস এর জন্য বিভিন্ন ল্যাবটেস্ট করা হয়। এর মধ্যে আছে।

১। রক্ত পরীক্ষা।

২। আল্টাসনোগ্রাম।

৩। লিভার ফাংশন টেস্ট।

৪। সিটি স্ক্যান।

তবে সবার সব পরীক্ষা লাগেনা। একজন উপযুক্ত চিকিৎসকই ল্যাবটেস্ট নির্ধারণ করবেন।
মেট্রোনিভাজল ও টিনিডাজোল দিয়ে এমিবিক লিভার এবসেসের চিকিৎসা করা হয়। তবে এবসেস বড় হলে নিডলের সাহায্যে পুঁজ বের করে তারপর মেট্রোনিডাজল দেয়া হয়।

এমিবিক লিভার এবসেসের কিছু জটিলতা আছে। এবসেস ফেটে যেতে পারে। পুঁজ ছড়িয়ে যেতে পারে পেটের পেরিটোনিয়ামে, ফুসফুসের প্লুরাতে এবং হার্টের পেরিকার্ডিয়ামে। অনেক সময় ফুসফুসের ভেতরে পুঁজ চলে যায়। তখন পুঁজ কাশির সাথে বের হয়ে আসে।

এমিবিক লিভার এবসেস কষ্টদায়ক অসুখ। সন্দেহ হলে জরুরী ভিক্তিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.