ডায়াবেটিক রোগীদের এক-তৃতীয়াংশ ভোগেন বিভিন্ন চর্ম বা ত্বকের সমস্যায়।
১. ব্যাকটেরিয়াজনিত প্রদাহ: ফোড়া, নখের ইনফেকশন, চোখের পাপড়ির প্রদাহ, সেলুলাইটিস প্রভৃতি ব্যাকটেরিয়াজনিত ত্বকের প্রদাহে ভোগেন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী। এগুলোর কোনো একটি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা উত্তম।
২. ডায়াবেটিক র্যাশ: ডায়াবেটিক রোগীদের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ত্বক বেশি শুষ্ক থাকে। এই শুষ্ক ত্বকে লালচে র্যাশ উঠতে দেখা যায়।
৩. ডায়াবেটিক ব্লিস্টার: গরমকালে ত্বকে পানিমুখী ফুসকুড়ি বা ব্লিস্টার উঠতে দেখা যায়। এসব ব্লিস্টারে পুঁজ জমে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।
৪. ডায়াবেটিক ডার্মোপ্যাথি: অনেক ডায়াবেটিক রোগীর পায়ে কিছু কালো দাগ পড়তে দেখা যায়। আসলে ডায়াবেটিসের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির পায়ের ছোট ছোট রক্তনালিতে রক্তপ্রবাহে বিঘ্ন ঘটে। ফলে রক্তের জলীয় অংশ রক্তনালি থেকে বের হয়ে ত্বকের ঠিক নিচে জমা হয়, যার কারণে কিছু দাগ সৃষ্টি হয়। একেই বলা হয় ডায়াবেটিক ডার্মোপ্যাথি।
৫. ইরাপ্টিভ জান্থোম্যাটসিস: সাধারণত অনেক দিন ধরে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে হয়ে থাকে। এটি সাধারণত এক ধরনের হলুদাভ শক্ত গোটা, যা হাত-পা ও পিঠে হতে পারে। রোগীর কোলেস্টেরল বেশি থাকলেও এগুলো হতে দেখা যায়।
৬. ছত্রাক বা ফাংগাসের সংক্রমণ: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায়ই ছত্রাক বা দাউদে আক্রান্ত হতে পারেন। যেমন ক্যান্ডিডা, রিং ওয়ার্ম বা ইস্ট নামক ছত্রাকের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়।
৭. নেকরোবায়োসিস লাইপয়ডিকা: ডায়াবেটিক রোগীদের এটি একটি বিশেষ ধরনের ত্বকের ক্ষত। এটি সাধারণত নারীদের বেশি হয়। এগুলো পায়ে বেশি হতে দেখা যায়। এগুলো সাধারণত লালচে বাদামি রঙের এবং ছোট ছোট গুটি আকারের হয়ে থাকে।
৮. ত্বকের চুলকানি: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত সঞ্চালন অনেক শ্লথ হয়ে যায়। ফলে ত্বকের শুষ্কতা বাড়তে থাকে। এই শুষ্কতার কারণে ত্বকে চুলকানি বাড়তে পারে।
ডা. শেখ আরিফুর রহমান
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক