সহজ ভাষায় বলি, বি ফাস্ট। অর্থাৎ বি মানে ব্যালেন্স। ব্যালেন্স মানে ভারসাম্য। যখন হঠাৎ করে ভারসাম্যহীন হবেন অথবা ই মানে আই অর্থাৎ হঠাৎ করে ব্লাইন্ডনেস হয় কেউ। এফ মানে ফেস। ফেসের একটি অংশ যদি অ্যাসিমেট্রি হয় অথবা একটা অংশ দুর্বল হয়। এ মানে আর্ম। আর্ম বা হাত যদি কখনো দুর্বল হয়ে যায় অথবা পা যদি দুর্বল হয়ে যায়। হঠাৎ করে হয় তখন আমরা বলি স্ট্রোক হয়েছে। এস মানে স্পিচ। হঠাৎ করে যদি কারোর কথা বলা বন্ধ হয়ে যায় অথবা সøারিং অব স্পিচ অথবা জড়তা হয়, কথায় হঠাৎ করে তখন সেটাকে আমরা বলি যে স্ট্রোক হয়েছে। টি মানে টাইম। টাইম ইজ ভেরি মাচ ইমপর্টেন্ট। কারণ তাড়াতাড়ি ডক্টরের কাছে যেতে হয় অথবা হসপিটালে যেতে হয়।
সাবধানতা : নানাবিধ মানসিক চাপ, অবসাদ, ভয়, আতঙ্ক, অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তার একটা রেশ থেকেই যাচ্ছে অনেকের জীবনে, এতে করে অনেকেই হোঁচট খাচ্ছেন, ভেঙে পড়ছেন, অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন, তাতে কিন্তু পুরনো রোগীসহ নতুনদেরও একটা ভয়ের কারণ থেকে যায়! তাই সবসময় নিজেকে এ সময় নিরাপদে রেখে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে চলা উচিত। প্রাথমিক করণীয় : স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে এক মিনিটে বাইশ লাখ নিউরন মারা যায়। স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর প্রতিটি সেকেন্ডই গুরুত্বপূর্ণ। সময় ব্যয় না করে যখনই মনে করবেন স্ট্রোক হয়েছে, তখনই হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন। অনেক সময় রোগী সিভিয়ার বমিটিং নিয়ে আসে। সিভিয়ার হ্যাডএইক নিয়ে আসে। যদি সাডেন অকারেন্স হয়, স্ট্রোক হয়, হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। এ স্ট্রোক দুটো জিনিস বোঝা যায়শ্ব স্ট্রোক ইজ আ প্রিভেন্টেবল ডিজিজ অ্যান্ড স্ট্রোক ইজ আ ট্রিটাবল ডিজিজ। স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য রোগ। যথাসময়ে চিকিৎসা করলে রোগী ভালো হয়। তা হলে স্ট্রোক যেহেতু প্রতিরোধ করা যায়, আমাদের ওই জিনিসগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে, স্ট্রোক কী কী করলে প্রতিরোধ করতে পারি।
এম,এস, জহিরুল হক চৌধুরী
প্পুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি, শ্যামলী , ঢাকা ।