অনেকের ধারণা সয়াবড়ি সয়াবিন গাছের ফল। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। মূলত সয়াবিন থেকে তেল আলাদা করে ফেলার পর যে অবশিষ্টাংশ থাকে, তা থেকে তৈরি হয় সয়াবড়ি।

পুষ্টিগুণ

সয়াবড়ি স্বাদের দিক থেকে অনেকটা মাংসের মতো, তাই নিরামিষাশীরা মাংসের বিকল্প হিসেবে এটি খেয়ে থাকেন। প্রোটিনের একটি ভালো উৎস সয়াবড়ি। মাংসে যে পরিমাণ প্রোটিন তার চেয়ে অনেক বেশি থাকে সয়াবড়িতে। সয়াবড়িতে ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ প্রোটিন আছে। মাংসে চর্বি থাকলেও সয়াবড়িতে কোনো রকম তেল বা চর্বি নেই। এতে প্রচুর ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বিদ্যমান, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সয়াবড়িতে মেলে খনিজ উপাদান। ক্যালসিয়াম ও আয়রনের ভালো উৎস সয়াবড়ি।

সয়াবড়ির উপকারিতা

  • হাড় ক্ষয়রোধে কার্যকর।
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • সয়াবড়ি খেলে শরীরে উপকারী চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
  • হার্টের জন্য উপকারী।
  • ডায়েটরি ফাইবার অনেক বেশি পরিমাণ থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • ঋতুস্রাব বন্ধের পর নারীদের হরমোনাল ভারসাম্য রক্ষা করে সয়াবড়ি।

যাঁদের খাওয়া মানা

এত এত উপকার থাকলেও সবাই সয়াবড়ি খেতে পারবেন না। চলুন, এবার জেনে নেওয়া যাক কাদের সয়াবড়ি খাওয়া নিষেধ

সয়াবড়ি অধিক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার, কিন্তু অধিক গ্রহণে স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে। তাই খাওয়ার পরিমাণ বিষয়ে সতর্ক থাকাটা জরুরি। থাইরয়েড হরমোনের অভাবের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের না খাওয়াই ভালো। সয়াবড়ি খেলে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ বাড়ে বলে ঋতুস্রাবে রক্তের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই দিনে ২৫ থেকে ৩০ গ্রামের বেশি গ্রহণ করা যাবে না।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.