বহুল প্রচলিত সিজারিয়ান অপারেশন করা হয় কিন্তু পিঠের নিচের দিকে একটি ইন্জেকশন দিয়ে রুগীকে অবস করে। এই ইন্জেকশন আরও কিছু অপারেশনে বা কিছু চিকিৎসায়ও ব্যাবহার হয়। ব্রেনের মধ্যে বা তার আবরণীতে যদি ইনফেকশন হয় তাহলে আমরা অনেক সময় পিঠের রস বের করে পরীক্ষা করে থাকি। একে লাম্বার পাংচার বলা হয়। সেই রস পরীক্ষা করে ব্রেনে কি ধরনের ইনফেকশন হয়েছে সেটা অনেকটা বোঝা যায়। এছাড়া আরো কিছু অসুখে কিন্তু পিঠ থেকে এই রস বের করা হয়। লো প্রেসার হেডেক সাধারণত এই লাম্বার পাংচারের পরেই হয়ে থাকে। তবে কখনো কখনো একা একাই হতে পারে ।
শুয়ে থাকলে এই ধরনের মাথা ব্যথা থাকে না। রোগী অনেকটাই আরামে থাকে। তেমন কোন কষ্ট অনুভব করে না। কিন্তু দাঁড়ানোর সাথে সাথে দেখা দেয় এই মাথাব্যথা। অনেক সময় শোয়া অবস্থা থেকে হঠাৎ করে উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরে ওঠে এবং ব্যথা শুরু হয়। লাম্বার পাংচার করার পরে এ ধরনের মাথা ব্যথা শুরু হলে তেমন কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর করতে হয় না। পাংচারের পরে মাথা ব্যাথা হলে ধরে নেয়া হয় যে এটা এই কারণেই হয়েছে। কিন্তু যদি লাম্বার পাংচারের কোন ইতিহাস না থাকে তাহলে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা উচিত।

এমআরআই এক্ষেত্রে ভালো পরীক্ষা। এমআরআই করলে অন্য কোন কারণেও এই ধরনের মাথা ব্যথা হচ্ছে কিনা সেটা বোঝা যায়।

লো প্রেসার হেডেকের রোগীরা আস্তে আস্তে একা একাই ভালো হয়ে যায়। কখনো কখনো ডুরাল ব্লাড প্যাচ লাগতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই ব্যথা কোন চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায়।
লাম্বার পাংচার করার পরে প্রচুর পানি খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়া রোগীকে শুয়ে থাকতে বলা হয়। ক্যাফেইন এক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। লাম্বার পাংচার নিউরো মেডিসিন ওয়ার্ডে প্রায়ই করা হয় । এই ধরনের মাথাব্যথা খুব জটিল নয় এবং বিশ্রামে থাকলে তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়।

 

ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল

এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমপিএইচ, সিসিডি (বারডেম), এমডি (থিসিস)-নিউরোমেডিসিন,এফসিপিএস (ফাইনাল পার্ট)
নিউরোমেডিসিন বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.