ঠোঁটের মারাত্মক রোগগুলোর একটি হল ডিসকয়েড লুপাস ইরাইথিমেটোসাস। সংক্ষেপে ডি,্এল,ই রোগ বলা হয়ে থাকে। ডিসকয়েড লুপাস ইরাইথিমেটোসাস আলোক সংবেদনশীল ত্বকের বৃদ্ধি বা র্যাশ যা স্থানীয়ভাবে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে, আবার চারপাশে বিস্তৃতি লাভ করতে পারে। ঠোঁটে যদি ডি,্এল,ই রোগ হয় তবে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। ডি,্এল,ই রোগের চিকিৎসা যথাযথ ভাবে না হলে স্থায়ী দাগের সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া ঠোঁট ও মুখের অভ্যন্তরে আলসার বা ক্ষত দেখা দিতে পারে। ভাগ্য খারাপ হলে ডি,্এল,ই স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সারের কারণ হিসাবে আবির্ভাব হতে পারে। এর অর্থ হলো ডি,্এল,ই রোগের চিকিৎসা গ্রহণ না করলে মুখের অভ্যন্তরে বা ঠোঁটে স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সার দেখা দিতে পারে।
ডি,্এল,ই রোগ একটি অটোইমমিউন অচলাবস্থা। অতিরিক্ত সূর্যের আলোর সংস্পর্শ এবং ধুমপান ডি,্এল,ই রোগের রিস্ক ফ্যাক্টর। শতকরা ১০ ভাগ ক্ষেত্রে ডিসকয়েড লুপাস ইরাইথিমেটোসাস থেকে সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথিমেটোসাস হতে পারে।
তাই ঠোঁটের উপর বা মুখের অভ্যন্তরে কোন লাল বা কালো র্যাশ বা দাগ অথবা ক্ষত বা ফুলাভাব দেখা দিলে নিজে চিকিৎসা নিয়ে সময়ক্ষেপন না করে একজন অভিজ্ঞ মুখের রোগের চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে একটু অবহেলা আপনার জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ