বর্তমান বিশ্বে নারীদের অন্যতম প্রধান ক্যানসার হলো স্তন ক্যানসার। বিশ্বে প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি নারী এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন। আর মারা যান প্রায় ৭ লাখ। যদিও উন্নত দেশগুলোয় এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি কিন্তু মৃত্যুহার অনুন্নত দেশগুলোয়ই বেশি। বাংলাদেশেও নারীদের মধ্যে স্তন ক্যানসারই বেশি।

কাদের ঝুঁকি বেশি: কম বয়সে মাসিক শুরু হওয়া, দেরিতে মাসিক বন্ধ হওয়া, বেশি বয়সে প্রথম সন্তান, কমসংখ্যক সন্তান, সন্তানকে বুকের দুধ পান না করানো, হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি, দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন, অতিরিক্ত মদ্যপান, স্থূলতা, পরিবারে স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যানসারের ইতিহাস থাকা, বিআরসিএ১, বিআরসিএ২ নামক জিনের মিউটেশন।

যেভাবে বুঝবেন: স্তন বা বগলে চাকা, গোটা বা ঘা; স্তনের আকার ও আকৃতির পরিবর্তন, চুলকানো বা লাল হয়ে যাওয়া; স্তনবৃন্ত ভেতরে ঢুকে যাওয়া, স্তনবৃন্ত থেকে ক্ষরণ; স্তনের চামড়া কমলালেবুর খোসার মত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

প্রতিরোধে করণীয়: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা, সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হরমোনথেরাপি নেওয়া এবং এটা চলাকালীন নিয়মিত ফলোআপ করা।

প্রাথমিক শনাক্তির উপায়: নিয়মিত স্তন পরীক্ষা, স্তনে কোন অস্বাভাবিকতা লক্ষ করলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া, আলট্রাসনোগ্রাফি ও মেমোগ্রাফি করানো ইত্যাদি।

চিকিৎসা: স্টেজের ওপর ভিত্তি করে অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও হরমোনথেরাপি দেওয়া হয়।

 

ডা. ফারাহ দোলা

বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.