উন্নত বিশ্বে নারীদের জননাঙ্গের ক্যানসারের মধ্যে জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। বাংলাদেশসহ অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোও এ ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জরায়ুমুখ বা সারভাইকাল ক্যানসারের মতো এ রোগের কোনো প্রতিরোধক টিকা নেই। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণ ও সঠিক চিকিৎসকের কাছে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ এ রোগ প্রতিহত করার একমাত্র উপায়।

ঝুঁকি বেশি যাঁদের

  • বেশি বয়স্ক নারী; বিশেষত মেনোপজের পর।
  • স্থূলকায় নারী।
  • ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের রোগী।
  • যাঁদের সন্তান নেই বা সন্তান কম।
  • যাঁরা হরমোন থেরাপি নিচ্ছেন।
  • যাঁদের পরিবারে জরায়ু ক্যানসার, কোলন ক্যানসারের রোগী আছেন (জেনেটিক মিউটেশনের কারণে)।

কীভাবে বুঝবেন

  • যোনিপথে অস্বাভাবিক রক্তপাত।
  • মেনোপজের পর আবার রক্তস্রাব।
  • অনিয়মিত মাসিক।
  • ৪৫ বছর বয়সের পর মাসিকের সময় বেশি রক্তপাত।

উল্লেখিত লক্ষণগুলোর কোনো একটি দেখা দিলে একজন গাইনি ক্যানসার বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক এ ক্ষেত্রে সাধারণত রোগীকে পরীক্ষা করে দেখে প্রয়োজনে বায়োপসি পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ শনাক্ত করে থাকেন। ক্যানসার ধরা পড়লে সেটি কতটা ছড়িয়েছে, তা বুঝতে আরও কিছু অ্যাডভান্সড টেস্ট করতে হয়।

চিকিৎসা

সার্জারি বা অস্ত্রোপচার হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়ের মূল চিকিৎসা। এ ছাড়া কোনো কোনো রোগীর রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপিও
লাগতে পারে।

শেষ কথা

প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের মতো আয়ু লাভ করতে পারেন। আর সচেতনতার মাধ্যমেই সম্ভব সঠিক সময়ে রোগনির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়টি।

 

ডা. রাহেলা খাতুন

গাইনি ক্যানসার বিশেষজ্ঞআলোক হেলথকেয়ার লি., মিরপুর ১০, ঢাকা

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.